Course Content
Accounting(25841)
0/22
Food Packaging (26944)
0/1
Diploma in chemical and food Engineering (4th semester)
About Lesson

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১। মাত্রিক বিশ্লেষণ কাকে বলে? মাত্রিক বিশ্লেষণ কত প্রকার?

উত্তরঃ মাত্রিক বিশ্লেষণের সাহায্যে বিশ্লেষ্য নমুনায় কোন একটি বিশেষ উপাদান বা যৌগ কী পরিমাণে উপস্থিত আছে তা নির্ণয় করা হয়। কোন নমুনায় একাধিক উপাদান থাকলে প্রত্যেকটির পরিমাণ ও উপস্থিতির শতকরা হার এ পদ্ধতিতে জানা যায়। বিশ্লেষণ পরিধি অনুসারে মাত্রিক বিশ্লেষণ আবার দুই প্রকার; যথা-

  • আংশিক বিশ্লেষণ
  • পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ।

২। যান্ত্রিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন উপাদানের আলো, বিদ্যুৎ প্রভৃতির উপর ভৌত-রাসায়নিক গুণাবলির প্রভাবকে উপজীব্য করে বিশ্লেষণের অনেকগুলো যান্ত্রিক পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। যেমন-

(ক) বৈদ্যুতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিঃ ভোল্টামেট্রি, পোটেনশিওমেট্রি, কুলোমেট্রি, কন্ডাকটোমেট্রি, তাপবৈদ্যুতিক বিশ্লেষণ প্রভৃতি।

(খ) আলোক বিশ্লেষণঃ ফটোমেট্রি, রিফ্রাক্ট্রোমেট্রি, পোলারিমেট্রি, আলোক-প্রভা পদ্ধতি প্রভৃতি।

(গ) বিশেষায়িত পদ্ধতিঃ স্পেক্ট্রোমেট্রি, স্পেক্ট্রোফটোমেট্রি, ক্রোমাটোগ্রাফি, তেজ-রাসায়নিক পদ্ধতি প্রভৃতি।

৩। ২টি বিষাক্ত কেমিক্যালের নাম লেখ।

উত্তরঃ ২টি বিষাক্ত কেমিক্যালের নাম নিম্নরূপ-

  • সোডিয়াম সায়ানাইড
  • সোডিয়াম সায়ানেট।

৪। ৪টি দাহ্য পদার্থের নাম লেখ।

উত্তরঃ ৪টি দাহ্য পদার্থের নাম নিম্নরূপ-

  • মিথাইল অ্যালকোহল
  • ইথাইল অ্যালকোহল
  • প্রোপাইল অ্যালকোহল
  • বিউটাইল অ্যালকোহল।

 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১। আংশিক ও পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ কাকে বলে?

উত্তরঃ আংশিক বিশ্লেষণঃ যখন বিশেষ্য নমুনার সবকয়টি উপাদানের পরিবর্তে এক বা একাধিক উপাদানের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়, তখন তাকে আংশিক বিশ্লেষণ বলে।

পরিপূর্ণ বিশ্লেষণঃ নমুনার সব কয়টি উপাদান বা মৌলের সম্পূর্ণ পরিমাণগত বিশ্লেষণকে পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ বলে।

২। আয়তনমিতিক বিশ্লেষণ, ওজনমিতিক বিশ্লেষণ ও যান্ত্রিক বিশ্লেষণের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ দ্রবণে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করায় তড়িৎদ্বারে সঞ্চিত পদার্থের ওজনের সাহায্যে বিশ্লেষণ করার বিশেষ পদ্ধতিকে তড়িৎ ওজনমিতিক বিশ্লেষণ বলে।

গ্যাস বা দ্রবণের আয়তন মেপে নমুনার উপাদানের পরিমাণ নির্ণয় এ পদ্ধতিতে করা হয়। গ্যাস-মিশ্রণ থেকে এক বা একাধিক গ্যাস পৃথক করার ফলে আয়তনের হ্রাস ঘটে। আয়তনের পরিবর্তনের পরিমাপ থেকে বিশ্লেষণের মান নির্ণয় করা যায়।

অম্ল ও ক্ষারকের পারস্পরিক নিরপেক্ষকরণ বা প্রশমনের আয়তনিক পদ্ধতিকে প্রশমনমিতিক বিশ্লেষণ বলে। কোন উপাদানের আলো, বিদ্যুৎ প্রভৃতির উপর ভৌত-রাসায়নিক গুণাবলির প্রভাবকে উপজীব্য করে বিশ্লেষণের অনেকগুলো যান্ত্রিক পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। যেমন-

(ক) বৈদ্যুতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিঃ ভোল্টামেট্রি, পোটেনশিওমেট্রি, কুলোমেট্রি, কন্ডাকটোমেট্রি, তাপবৈদ্যুতিক বিশ্লেষণ প্রভৃতি।

(খ) আলোক বিশ্লেষণঃ ফটোমেট্রি, রিফ্রাক্ট্রোমেট্রি, পোলারিমেট্রি, আলোক-প্রভা পদ্ধতি প্রভৃতি।

(গ) বিশেষায়িত পদ্ধতিঃ স্পেক্ট্রোমেট্রি, স্পেক্ট্রোফটোমেট্রি, ক্রোমাটোগ্রাফি, তেজ-রাসায়নিক পদ্ধতি প্রভৃতি।

৩। ১০ টি ক্ষয়কারী পদার্থের নাম লেখ।

উত্তরঃ ১০টি ক্ষয়কারী পদার্থের নাম নিম্নরূপ-

  • হাইড্রোব্রোমিক অ্যাসিড
  • সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড
  • পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড
  • ক্যালসিয়াম অক্সাইড
  • অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড
  • তরল অ্যামোনিয়া
  • সোডিয়াম ধাতু
  • ফসফোরাস ধাতু
  • পারক্লোরিক অ্যাসিড
  • পারসালফিউরিক অ্যাসিড।

 

রচনামূলক প্রশ্নোত্তর

১। পরীক্ষাগারে সচরাচর ঘটমান দুঘৃটনাগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি লেখ।

উত্তরঃ পরীক্ষাগারে কোন কাচ পাত্র ভেঙে কোন অঙ্গ কেটে যেতে পারে। এরূপ অবস্থায় কাটা অঙ্গে কাচের কোন ভাঙা টুকরা প্রবিষ্ট থাকলে সর্বপ্রথম তা দূর করতে হয়। অতঃপর ক্ষতস্থান অ্যালকোহল দ্বারা ধুয়ে টিনচার আয়োডিন বা টিনচার বেনজোয়িন লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিতে হয়।

পরীক্ষাগারে কাজ করার সময় চোখে আঘাত লাগতে পারে। চোখ অতি নাজুক অঙ্গ। কাজেই চোখের আঘাত অতি সতর্কতার সাথে চিকিৎসা করতে হয়। চোখের মধ্যে অ্যাসিড পড়লে, চোখ পাতলা সোডিয়াম বাই-কার্বনেট দ্রবণ দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হয়। আর চোখে ক্ষার পড়লে, পাতলা বোরিক অ্যাসিড দ্রবণ দ্বারা ধৌত করতে হয়। তৎপর বোরিক লোশন বা বোরিকযুক্ত ভেসলিন বা তরল প্যারাফিন চোখে প্রয়োগ করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়।

প্রচুর রক্তপাতঃ কোন কিছু দ্বারা শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে যদি প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে বা সহজে রক্তপাত বন্ধ না হলে ক্ষতস্থানের কিছু উপরে ভালোরূপে বেঁধে টিনচার আয়োডিন বা টিনচার বেনজোয়িন প্রয়োগে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করতে হয় এবং প্রয়োজনবোধে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

বাষ্প ও গরম পানি দ্বারা দগ্ধ হওয়াঃ গরম পানি, উত্তপ্ত বাষ্প কিংবা গরম তরল বস্তুতে দগ্ধ হয়ে চামড়ার বিশেষ ক্ষতি না হলে ট্যানিক অ্যাসিড জেলি, অ্যাক্রিফ্লোভিন জেলি কিংবা বুটাসিন পিকরেট অয়েন্টমেন্ট সাথে সাথে লাগাতে হবে। ফোস্কা পড়ার ভয় না থাকলে বরফ-শিতল পানিতে দগ্ধ স্থান ডুবিয়ে রাখতে হবে কিংবা ডিমের শ্বেতাংশ দ্বারা প্রলেপ দিতে হবে।

আগুন ও গরম বস্তুতে পুড়ে গেলেঃ শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে, তাতে কখনো পানি দিতে নেই। দগ্ধ অংশের উপর নিম্নের যে কোন দ্রবণ বা মলম প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যায়-

  • অ্যালকোহলে দ্রবীভূত ট্যানিক অ্যাসিডের ৫% দ্রবণ।
  • পিকরিক অ্যাসিডের দ্রবণ।
  • চুনের পানি দ্বারা প্রস্তুত নারিকেল তেল বা লিনসিড তেলে অবদ্রবণ।
  • অন্য যে কোন পোড়া ঘায়ের মলম।

অ্যাসিড ও ক্ষার দ্বারা পুড়ে গেলেঃ কোন অঙ্গের উপর অ্যাসিড বা ক্ষার পড়লে তৎক্ষণাৎ ঐ স্থানটি প্রচুর পানি দ্বারা উত্তমরূপে ধুয়ে ফেলতে হয়। অতঃপর অ্যাসিডের ক্ষেত্রে সোডিয়াম বাই-কার্বনেটের পাতলা দ্রবণ, আর ক্ষারের ক্ষেত্রে বোরিক অ্যাসিডের পাতলা দ্রবণ প্রয়োগ করতে হয়। ফলে অম্ল-ক্ষারের নিরপেক্ষণ ঘটে।

ব্রোমিনে পুড়ে গেলেঃ কোন অঙ্গ ব্রোমিনে পুড়ে গেলে লঘু পেট্রোলিয়াম দ্বারা পোড়া স্থান সাথে সাথে ধুয়ে ফেলতে হয়। তারপর আস্তে আস্তে সেখানে ভালোভাবে গ্লিসারিন এর প্রলেপ দিতে হয়। প্রায় আধ ঘন্টা পরে গ্লিসারিন মুছে ফেলে অ্যাক্রোফ্লেভিন জেলি বা বুটাসিন পিকরেট অয়েন্টমেন্ট লাগাতে হয়।

সালফিউরিক অ্যাসিডে পুড়ে গেলেঃ সালফিউরিক অ্যাসিড কোন অঙ্গে পড়লে খুব জ্বালা করে এবং পুড়ে যায়। গরম গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড অত্যন্ত ক্ষয়কারক। সকল ঘনত্বের সালফিউরিক অ্যাসিড সুতি কাপড় ছিদ্র করে এবং ত্বকে লাগলে পুড়ে যায়। সালফিউরিক অ্যাসিডে পোড়া স্থান প্রথমে প্রচুর পানি, তারপর ঘন সোডিয়াম বাই-কার্বনেট দ্রবণ এবং পুনরায় পানি দিয়ে ধুয়ে জীবাণুনাশক লোশন লাগাতে হয়। লোশন শুকিয়ে গেলে অ্যাক্রোফ্লেভিন বা বার্নল লাগাতে হয়।

গ্যাস ও ধোঁয়া শ্বাসক্রিয়ায় গ্রহণঃ শ্বাসক্রিয়ার সময় বিষাক্ত ধূম-ধোঁয়া, ক্লোরিন, ব্রোমিন, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বা অন্য কোন বিষাক্ত গ্যাস ফুসফুসে গেলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে খোলা উন্মুক্ত স্থানে মুক্ত বায়ু গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হয়। গায়ের জামা কাপড় ঢিলে করে দিতে হয়। ক্লোরিন ও ব্রোমিন গ্যাসের ক্রিয়া নষ্ট করতে অ্যামোনিয়া গ্যাস, অ্যালকোহলের বাষ্প বা সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণের স্প্রে প্রয়োগ করতে হয়। পরে গলা ও ফুসফুসের জ্বালা নিবারণের জন্য গরম লঘু পিপরমিন্ট, সিনমন এসন্স বা ইউক্লিপটাসের লঘু তেল সেবন করতে হয়।

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের বিষক্রিয়াঃ হাইড্রোজেন সালফাইড ও হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে উন্মুক্ত স্থানে গিয়ে অক্সিজেন গ্যাসের কৃত্রিম শ্বাস-ক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়াঃ কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। উন্মুক্ত স্থানে গিয়ে অক্সিজেন দ্বারা কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।

Join the conversation
0% Complete
error: Content is protected !!