Course Content
সাধারণ গণিত
গাণিতিক যুক্তি, অঙ্কের মৌলিক ধারণা, শতকরা হার, অনুপাত-সমানুপাত, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, গড়, সূচক ও ঘাত, এবং LCM/GCD — যা যা ভর্তির জন্য প্রয়োজন।
0/16
Diploma Admission Care

 

কারক ও বিভক্তি

১। বাক্যে ক্রিয়ার সঙ্গে কোন পদের সম্পর্ককে কারক বলে?

ক. বিশেষ্য ও বিশেষণ              খ. বিশেষ্য ও সর্বনাম

গ. বিশেষ্য ও অনুসর্গ                ঘ. বিশেষণ ও আবেগ               উত্তর :

ব্যাখ্যা: কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে বিশেষ্য বা সর্বনামের যে সম্পর্ক সেটি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। বাংলা ভাষায় মূলত বিশেষ্য ও সর্বনাম পদই ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। যেমন: সে বই পড়ে — এখানে ‘সে’ একটি সর্বনাম, যা ‘পড়া’ ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।

২। ক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই, তেমন। কারকের নাম কী?

ক. সম্বন্ধ                                  খ. অপাদান

গ. অধিকরণ                            ঘ. কর্তা                                   উত্তর :

ব্যাখ্যা: সম্বন্ধ কারক এমন একটি কারক, যার সঙ্গে ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, বরং দুটি পদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। যেমন: রাহুলের বই, এখানে ‘রাহুলের’ শব্দটি ‘বই’-এর মালিকানা বোঝায়, যা সম্বন্ধ কারকের উদাহরণ।

৩। বাংলা ভাষায় কারকের সংখ্যা কয়টি?

ক. তিন                                    খ. চার

গ. পাঁচ                                    ঘ. ছয়                                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় ছয়টি প্রধান কারক রয়েছে:
১) কর্তা, ২) কর্ম, ৩) করণ, ৪) অধিকরণ, ৫) অপাদান, ৬) সম্বন্ধ।

৪। ‘আমরা নদীর ঘাট থেকে রিকশা নিয়েছিলাম’- বাক্যটিতে ‘আমরা’ কোন কারক?

ক. কর্তা                                   খ. কর্ম

গ. করণ                                   ঘ. অপাদান                             উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘আমরা’ বাক্যে ক্রিয়ার (নিয়েছিলাম) যিনি কাজটি করছেন, সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বোঝায়। কাজেই এটি ‘কর্তা’ কারক।

৫। যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কোন কারক বলে?

ক. কর্তা                                   খ. কর্ম

গ. অধিকরণ                            ঘ. অপাদান                             উত্তর :

ব্যাখ্যা : কর্ম কারক বলতে বোঝায় যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে। “কী”, “কাকে” দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে কর্ম কারক পাওয়া যায় যাকে আশ্রয় করে কর্তা-ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্ম কারক বলে।

৬। ‘শিক্ষককে জানাও’- এই বাক্যে ‘শিক্ষককে কোন কারক?

ক. অধিকরণ                            খ. অপাদান

গ. কর্তা                                   ঘ. কর্ম                                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: এখানে ‘শিক্ষককে’ হলো যে ব্যক্তি ‘জানানো’ কাজের উদ্দেশ্যভিত্তিক প্রাপক, অর্থাৎ যে ক্রিয়ার ওপর প্রভাব পড়ছে। তাই এটি কর্ম কারক।

৭। ‘ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়’ এই বাক্যে ‘ভেড়া দিয়ে’ কোন কারক?

ক. করণ                                   খ. কর্ম

গ. অপাদান                             ঘ. অধিকরণ                            উত্তর :

ব্যাখ্যা: যার সাহায্যে কাজটি করা হয়, তাকে করণ কারক বলা হয়। এখানে ‘ভেড়া দিয়ে’ মানে ‘ভেড়াকে ব্যবহার করে’ — এটি করণ কারক।

৮। ‘জমি থেকে ফসল পাই’- বাক্যটিতে ‘জমি থেকে’ কোন কারক?

ক. করণ                                   খ. কর্ম

গ. অপাদান                             ঘ. অধিকরণ                            উত্তর :

ব্যাখ্যা: যেখান থেকে কিছু জিনিস পৃথক হয় বা উৎপন্ন হয়, সেটিকে অপাদান কারক বলা হয়। এখানে ‘জমি থেকে’ মানে ‘জমি হতে’ — তাই অপাদান।

৯। কোন কারকে মূলত ক্রিয়ার স্থান, সময় ইত্যাদি বোঝায়?

ক. অপাদান                             খ. অধিকরণ

গ. সম্বন্ধ                                  ঘ. কর্ম                                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: অধিকরণ কারক সেই স্থান বা সময়কে বোঝায় যেখানে বা যেদিন কিছু ঘটে। যেমন: বাড়িতে আছে, রাতে খাই — এখানে ‘বাড়ি’ এবং ‘রাত’ অধিকরণ।

১০। ‘গাছের ফল পেকেছে- এখানে কোন বিভক্তির প্রয়োগ হয়েছে?

ক. -র                                      খ. -এর

গ. -য়ের                                   ঘ. -এ                                      উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘গাছের’ শব্দে ‘-এর’ বিভক্তি আছে, যা সম্বন্ধ কারক বোঝায় এবং মালিকানা বা উৎস নির্দেশ করে। এখানে ফলটি গাছের, অর্থাৎ গাছ থেকে পাওয়া।

১১। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নাম পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?

ক. সন্ধি                                    খ. সমাস

গ. কারক                                 ঘ. বিভক্তি                               উত্তর :

ব্যাখ্যা: ক্রিয়াপদের (যেমন: “খায়”, “যায়”) সঙ্গে নাম পদ (বিশেষ্য বা সর্বনাম) যেভাবে যুক্ত হয় এবং কাজের সঙ্গে তার যে ভূমিকা থাকে, সেই সম্পর্ককে কারক বলে। যেমন: সে ভাত খায় – এখানে ‘সে’ কর্তা কারক, ‘ভাত’ কর্ম কারক।

১২। নিচের কোনটি ছয় ভাগে বিভক্ত ?

ক. অব্যয়                                খ. কারক

গ. বিভক্তি                               ঘ. পদ                                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় কারক ছয় প্রকার: কর্তা, কর্ম, করণ, অধিকরণ, অপাদান, সম্বন্ধ।

১৩। কারক নির্ণয় করার সহজ উপায় কী? 

ক. শব্দটিকে ভাঙা                    খ. বিশেষ্যকে প্রশ্ন করা

গ. বিশেষণকে প্রশ্ন করা            ঘ. ক্রিয়াকে প্রশ্ন করা                উত্তর :

ব্যাখ্যা: কারক নির্ধারণ করতে হলে ক্রিয়ার উপর প্রশ্ন করে জানা যায় বাক্যে পদটি কীভাবে যুক্ত হয়েছে। যেমন: সে বই পড়ে – কে পড়ে? → ‘সে’ = কর্তা।

১৪। অনেক ব্যাকরণবিদ বাংলা ব্যাকরণে কোন কারক স্বীকার করেন না?

ক. কর্তৃকারক                           খ. কর্মকারক

গ. সম্প্রদান কারক                    ঘ. অপাদান কারক                    উত্তর :

ব্যাখ্যা: অনেক ব্যাকরণবিদ ‘সম্প্রদান কারক’কে পৃথক করে স্বীকৃতি দেন না; কারণ তারা এটি ‘কর্ম কারক’ বা ‘অপাদান কারক’-এর অংশ হিসেবে দেখেন।

১৫। ক্রিয়া যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাকে কী বলে?

ক. কারক                                খ. কর্তা কারক

গ. কর্তা                                   ঘ. সমাপিকা ক্রিয়া                    উত্তর :

ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি বা বস্তুর মাধ্যমে কাজটি করা হয়, সে কর্তা কারক। যেমন: রাহুল গান গায় – এখানে ‘রাহুল’ কর্তা কারক।

১৬। বাক্যের কর্তা বা উদ্দেশ্যই হলো-

ক. কর্ম                                     খ. করণ

গ. কর্তা কারক                         ঘ. সম্বন্ধ পদ                            উত্তর :

ব্যাখ্যা: বাক্যে যিনি কাজ করেন (subject), তিনিই কর্তা কারক। উদাহরণ: মোহন বই পড়ে — ‘মোহন’ কর্তা কারক।

১৭। কোন বাক্যে কর্তায় এ বিভক্তির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে?

ক. পাগলে কী না বলে ।             খ. বনে বাঘ আছে।

গ. ফুলে ফুলে বাগান ভরেছে।    ঘ. অন্ধ জনে দেহ আলো ।        উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘বনে’ শব্দে ‘এ’ বিভক্তি আছে, এবং এটি ‘বন’ শব্দের উপর বসে স্থান নির্দেশ করছে। এটি অধিকরণ কারক হলেও, এখানে ‘বনে’ কর্তাপদের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।

১৮। মূল কর্তার করণীয় কাজ যাকে দিয়ে সম্পাদিত হয় তাকে কী বলে?

ক. প্রযোজক কর্তা                    খ. প্রযোজ্য কর্তা

গ. মুখ্য কর্তা                            ঘ. ব্যতিহার কর্তা                      উত্তর :

ব্যাখ্যা: যে কর্তা নিজে কাজ না করে অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করায়, সেই “প্রযোজক কর্তা” এবং যাকে দিয়ে করানো হয়, সে “প্রযোজ্য কর্তা”।

১৯। বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের বৈশিষ্ট্যানুসারে কর্তৃকারকের কর্তা কত প্রকার?

ক. ২ প্রকার                              খ. ৩ প্রকার

গ. ৪ প্রকার                              ঘ. ৫ প্রকার                              উত্তর :

২০। বাক্যে দুটো কর্তা একত্রে এক জাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করলে তাদের কোন কর্তা বলে?

ক. মুখ্য কর্তা                            খ. গৌণ কর্তা

গ. ব্যতিহার কর্তা                      ঘ. প্রযোজ্য কর্তা                      উত্তর :

ব্যাখ্যা: যখন একাধিক কর্তা মিলে একই কাজে অংশ নেয়, তখন তাদের বলা হয় ব্যতিহার কর্তা। যেমন: রাহুল ও সুমন মিলে গান গায়।

২১। মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে— বাক্যে ‘বৃষ্টি’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?

ক. কর্তৃকারকে সপ্তমী               খ. কর্মকারকে শূন্য

গ. কর্তৃকারকে শূন্য                  ঘ. করণে শূন্য                          উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘বৃষ্টি’ এখানে কাজটি (পড়া) নিজে করছে, তাই এটি কর্তা। এবং এর সঙ্গে কোনো বিভক্তি নেই, অর্থাৎ শূন্য বিভক্তি।

২২। কোন বাক্যে প্রযোজক কর্তার ব্যবহার হয়েছে?

ক. শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন

খ. ছেলেরা ফুটবল খেলছে

গ. রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়ায়

ঘ. বাঘ-মহিষে এক ঘাটে জল খায়                                             উত্তর :

ব্যাখ্যা: শিক্ষক নিজে না পড়ে, ছাত্রদের দিয়ে পড়ানো করাচ্ছেন। তিনি কাজ করাচ্ছেন, অর্থাৎ প্রযোজক কর্তা।

২৩। শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন- বাক্যে ‘ছাত্র’ কোন ধরনের কর্তা?

ক. মুখ্য                                    খ. প্রযোজক

গ. প্রযোজ্য                              ঘ. ব্যতিহার                             উত্তর :

ব্যাখ্যা: যে কর্তা নিজে কাজ করছে কিন্তু আরেকজনের মাধ্যমে (প্রযোজক) নির্দেশে করছে, সে হল প্রযোজ্য কর্তা। এখানে ছাত্ররাই মূলত পড়ছে।

২৪।“বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়।”- বাঘে-মহিষে কোন কর্তা?

ক. মুখ্য কর্তা                            খ. প্রযোজ্য কর্তা

গ. ব্যতিহার কর্তা                      ঘ. ভাববাচ্যের কর্তা                  উত্তর :

ব্যাখ্যা: একাধিক কর্তা (বাঘ ও মহিষ) একই সঙ্গে কাজ করছে (জল খাওয়া)। তাই একে ব্যতিহার কর্তা বলা হয়।

২৫। কোন বাক্যে ব্যতিহার কর্তা রয়েছে?

ক. মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন

খ. বাঘে-মহিষে একঘাটে জল খায়

গ. রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে

ঘ. তোমাকে পড়াতে হবে                                                         উত্তর :

ব্যাখ্যা: দুটি কর্তা মিলে একই কাজ করছে। এটি ব্যতিহার কর্তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

২৬। “রাজায় রাজায় লড়াই, উলুখাগড়ার প্রাণান্ত”- কোন প্রকারের কর্তার উদাহরণ?

ক. ভাববাচ্যের কর্তা                  খ. ব্যতিহার কর্তা

গ. কর্মবাচ্যের কর্তা                   ঘ. কর্মকর্তৃবাচ্যের কর্তা             উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘রাজায় রাজায়’ মানে একাধিক রাজা – যা ব্যতিহার কর্তা বোঝায়।

২৭। “বসিরকে যেতে হবে।”- “বসিরকে কোন কারকে কোন বিভক্তি?

ক. কর্তৃকারকে দ্বিতীয়া              খ. কর্মকারকে দ্বিতীয়া

গ. করণ কারকে তৃতীয়া            ঘ. অপাদান কারকে পঞ্চমী        উত্তর :

ব্যাখ্যা: এখানে ‘বসিরকে’ কাজটি করতে হচ্ছে, তাই কর্তা। কিন্তু ‘কে’ বিভক্তি থাকায় এটি দ্বিতীয়া বিভক্তি।

২৮। “আমার যাওয়া হয়নি।” “আমার’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?

ক. কর্মে শূন্য                           খ. কর্তায় শূন্য

গ. কর্মে ৬ষ্ঠী                           ঘ. কর্তায় ৬ষ্ঠী                         উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘আমার’ বলছে কে যেতে পারেনি — কর্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং ‘আমা’ + ‘র’ = ষষ্ঠী বিভক্তি।

২৯। “ঘোড়ায় গাড়ি টানে।”—এখানে ‘ঘোড়ায়’ কোন কারকে কোন বিভক্তি? 

ক. কর্তৃকারকে সপ্তমী               খ. করণে দ্বিতীয়া

গ. কর্মে সপ্তমী                         ঘ. অপাদানে শূন্য                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘ঘোড়ায়’ শব্দে ‘য়’ (এ) বিভক্তি যোগ হয়ে সপ্তমী বিভক্তি গঠিত হয়েছে, এবং এটি কর্তা হিসেবে ব্যবহৃত।

৩০। মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম উভয় কর্মই কোন কারক হিসেবে গণ্য হয়?

ক. কর্তা                                   খ. কর্ম

গ. করণ                                   ঘ. অপাদান                             উত্তর :

ব্যাখ্যা: যেই পদের ওপর কাজ পড়ে, তাকে কর্ম বলে। মুখ্য বা গৌণ যাই হোক না কেন, উভয়ই কর্ম কারক

৩১। ‘লোকে কিনা বলে’- বাক্যের লোক শব্দের সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত আছে?

ক. -এ                                      খ. -তে

গ. -যে                                     ঘ. -রে                                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘লোকে’ শব্দে ‘লোক’ + ‘এ’ বিভক্তি রয়েছে, যা সাধারণত কর্তা বা অধিকরণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

৩২। সাধারণত ক্রিয়ার কাল, স্থান ও ভাব বোঝাতে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?

ক. -কে, -রে                             খ. -র, -এর

গ. – এ, -তে                             ঘ. -এ, -য়ের                            উত্তর :

ব্যাখ্যা: ক্রিয়ার স্থান, কাল ও ভাব বোঝাতে ‘এ’ ও ‘তে’ বিভক্তির ব্যবহার হয়।

৩৩। শব্দের শেষে ই-কার ও উ-কার থাকলে -এ বিভক্তির রূপভেদ হয়—

ক. -য়ে                                     খ. -এ

গ. -কে                                    ঘ. -তে                                    উত্তর :

ব্যাখ্যা: যদি শব্দের শেষে ই/উ-কার থাকে, তখন ‘এ’ বিভক্তির পরিবর্তে ‘তে’ ব্যবহার হয়।

৩৪। আ-কারান্ত শব্দের শেষে -এ বিভক্তির রূপভেদ-

ক. -ই                                      খ. -রে

গ. -র                                       ঘ. -য়                                      উত্তর :

ব্যাখ্যা: আ-কারান্ত (যেমন: স্কুলা, খেলা) শব্দের পরে ‘এ’ বিভক্তি বসলে তা ‘য়’ রূপে আসে।

৩৫। শব্দের শেষে দ্বিস্বর থাকলে – এ বিভক্তির রূপভেদ হয়-

ক. -এ                                      খ. -তে

গ. -য়ে                                     ঘ. -রে                                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: যেসব শব্দের শেষে দুইটি স্বরধ্বনি (দ্বিস্বর) থাকে, সেখানে ‘এ’ বিভক্তি ‘য়ে’ রূপে প্রকাশ পায়।

৩৬। বাক্যে গৌণ কর্মের সঙ্গে কোন বিভক্তির প্রয়োগ হয়?

ক. -র                                       খ. -এ

গ. -কে                                    ঘ. -তে                                    উত্তর :

ব্যাখ্যা: গৌণ কর্ম বোঝাতে ‘কে’ বিভক্তি ব্যবহার করা হয়।

৩৭। বাক্যের মধ্যে পরবর্তী শব্দের সঙ্গে সম্বন্ধ বোঝাতে কোন বিভক্তি হয়?

ক. -র                                       খ. -এ

গ. -কে                                    ঘ. -তে                                    উত্তর :

ব্যাখ্যা: সম্বন্ধ বোঝাতে ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।

৩৮। বাক্যের মধ্যে অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে অর্থহীন যেসব লগ্নক যুক্ত হয়; সেগুলোকে বলে-

ক. আবেগ                                খ. যোজক

গ. বিভক্তি                               ঘ. নির্দেশক                             উত্তর :

ব্যাখ্যা: বিশেষ্য ও সর্বনামের সাথে যুক্ত যেসব অর্থহীন ধ্বনি বাক্যের সম্পর্ক স্থাপন করে, সেগুলো বিভক্তি। এগুলো পদগুলোর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলে, কিন্তু নিজের কোনো অর্থ নেই।

৩৯। বাক্যের প্রতিটি শব্দের সাথে অন্বয় সাধনের জন্য যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদেরকে কী বলে?

ক. সমাস                                 খ. কারক

গ. বিভক্তি                               ঘ. সম্বন্ধ পদ                            উত্তর :

ব্যাখ্যা: বাক্যে বিভিন্ন পদের মধ্যে সম্পর্ক বা অন্বয় (syntax) স্থাপনে বিভক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

৪০। নিচের কোনগুলো বিভক্তি চিহ্ন?

ক. -এ, -তে                              খ. আলি

গ. অক                                    ঘ. অনট                                  উত্তর :

ব্যাখ্যা: -এ, -তে হলো স্থান, কাল, অধিকরণ ইত্যাদি বোঝাতে ব্যবহৃত বিভক্তি চিহ্ন। ‘আলি’, ‘অক’, ‘অনট’ এসব বিভক্তি নয়।

৪১। ‘-য়’ ‘য়ে’ এই বর্ণদ্বয় বাক্যে কী চিহ্ন। হিসেবে পরিচিত?

ক. প্রত্যয়                                 খ. অনুসর্গ

গ. উপসর্গ                               ঘ. বিভক্তি                               উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘-য়’ ও ‘য়ে’ হচ্ছে বিভক্তির রূপভেদ। এগুলো মূলত ‘এ’ বিভক্তির পরিবর্তিত রূপ।

৪২। পাগলে কী না বলে।- এই বাক্যে ‘পাগল’ শব্দের সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত আছে?

ক. -কে                                    খ. -ক

গ. -এ                                      ঘ. -অ                                     উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘পাগল’ + ‘এ’ = পাগলে। এখানে ‘পাগল’ হচ্ছে কর্তা এবং ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।

৪৩। নির্দেশক ভাবের সাধারণ বর্তমান কালের সম্ভ্রমাত্মক মধ্যম পুরুষের বিভক্তি কোনটি?

ক. -উন                                   খ. -এন

গ. -উক                                   ঘ. -ন                                      উত্তর :

ব্যাখ্যা:

  • আপনি যান → যানেন
  • আপনি শুনুন → শুনেন

এখানে -এন হলো সম্ভ্রমাত্মক বিভক্তি।

৪৪। বিভক্তিগুলোকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

ক. ২                                        খ. ৩

গ. ৪                                        ঘ. ৫                                        উত্তর :

ব্যাখ্যা: বিভক্তি প্রধানত ৩ ভাগে ভাগ করা হয়:

  • কারক বিভক্তি
  • সম্বন্ধ বিভক্তি
  • ক্রিয়াবিভক্তি

৪৫। কখনো কখনো বাক্যের কর্তার সঙ্গে কোন বিভক্তিগুলো যুক্ত হয়?

ক. -এ, -তে                              খ. -কে, -রে

গ. দিয়ে, কর্তৃক                        ঘ. দ্বারা, দিয়ে                          উত্তর :

ব্যাখ্যা:

  • পাগলে কী না বলে
  • অন্ধজনে দেহ আলো

এখানে কর্তা হিসেবে -কে, -রে বিভক্তি যুক্ত হয়। এটি ব্যতিক্রম ধরনের কর্তা।

৪৬। ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি।’- এ বাক্যে ‘সকালে’ শব্দের সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়েছে?

ক. -লে                                    খ. -ল

গ. -এ                                      ঘ. কালে                                  উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘সকাল’ + ‘এ’ = সকালে, এটি অধিকরণ কারকের বিভক্তি। স্থান ও কাল বোঝাতে ব্যবহৃত।

৪৭। ‘উৎকৃষ্ট চাল দিনাজপুরে পাওয়া যায়। – বাক্যে ‘দিনাজপুর’ শব্দের সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়েছে?

ক. পুরে                                    খ. রে

গ. -এ                                       ঘ. উরে                                   উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘দিনাজপুর’ + ‘এ’ = দিনাজপুরে, এটি স্থান নির্দেশ করে (অধিকরণ কারক)।

৪৮। যেসব শব্দের শেষে কারচিহ্ন নেই, সেসব শব্দের শেষে ‘-এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়; এরকম উদাহরণ নিচের কোনটি?

ক. ই-মেইলে                            খ. হাতিতে

গ. রাত্রিতে                               ঘ. মধুতে                                 উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘হাতি’ শব্দের শেষে ই-কার থাকায় ‘তে’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে → হাতিতে

এটি -এ বিভক্তির রূপভেদ। প্রশ্নের ব্যাখ্যা কিছুটা অস্পষ্ট, তবে এখানেই ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক উদাহরণ হয়।

৪৯। ‘ছাগলে কী না খায়?’- এই বাক্যে ‘ছাগলে’ শব্দের সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়েছে?

ক. -লে                                    খ. ল

গ. -এ                                      ঘ. -এলে                                  উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘ছাগল’ + = ছাগলে → উচ্চারণে ‘লে’

এটি কর্তৃকারক বিভক্তির উদাহরণ।

৫০। যেসব শব্দের শেষে কারচিহ্ন নেই, সেসব শব্দের সঙ্গে ‘-এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়; এরকম উদাহরণ হচ্ছে-

ক. ছইয়ে                                 খ. ভাইয়ে

গ. বউয়ে                                 ঘ. তিলে                                  উত্তর :

ব্যাখ্যা: ‘ভাই’ শব্দের শেষে কোনো কারচিহ্ন নেই, এবং এখানে ‘এ’ বিভক্তি ‘য়ে’ রূপে এসেছে:

  • ভাই + এ = ভাইয়ে

 

 

 
   

 

0% Complete
error: Content is protected !!