বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভোকেশনাল নবম সমাপনী পরীক্ষা পদার্থ বিজ্ঞান ১ সাজেশন উত্তরসহ । আজকে আমরা ভোকেশনাল নবম সপামনী পরীক্ষা ২০২২ এর জন্য পদার্থ বিজ্ঞান ১ থেকে প্রথম অধ্যায় তথা ভৌত রাশি ও পরিমাপ এর সাজেশন দেখার চেষ্টা করব।
এসএসসি ভোকেশনাল বা দাখিল ভোকেশনাল নবম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা ২০২২ । পাপেল এডু কেয়ার নবম সমাপনী পরীক্ষা সুপার সাজেশন ও অনলাইন ক্লাসের পক্ষ হতে পদার্থ বিজ্ঞান ১ এর ভৌত রাশি ও পরিমাপ থেকে নিশ্চিত কমন উপযোগী সুপার সাজেশন দেখব।
অনেকেই রয়েছে ভোকেশনাল নবম সপামনী পরীক্ষার সিলেবাস জানেন না। তাদের জন্য এই পোস্টটি।
পদার্থ বিজ্ঞান ১ এর প্রথম অধ্যায় থেকে ১টি সৃজনশীর প্রশ্ন পরীক্ষায় প্রায়ই এসে থাকে । আর ভৌত রাশি ও পরিমাপ অধ্যায়টি খুব সহজেই উত্তর করা যায়।
১। পরিমাপ কাকে বলে? অথবা পরিমাপ কী?
কোন কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাকে বলা হয় পরিমাপ। অন্যভাবে বলা যায়- কোনো কিছুর মাপজোখের নাম পরিমাপ।
২। পরিমাপের একক কাকে বলে?
যে আদর্শ পরিমাপের সাথে তুলনা করে কোন ভৌত রাশিকে পরিমাপ করা হয়, সেই আদর্শ পরিমাপকে পরিমাপের একক বলে।
৩। এসআই একক কী?
বৈজ্ঞানিক তথ্যের আদান-প্রদান ও ব্যবসায় বাণিজ্যে প্রসারের জন্য সারা বিশ্বে মাপ-জোখের যে আদর্শ বা একক চালু আছে তাকে এসআই একক বলে। এসআই (SI) বলতে International System of Units বুঝায়।
৪। ভার্নিয়ার ধ্রুবক কী?
প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগ যতটুকু ছোট তার পরিমাণকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলা হয়। অন্যভাবে, প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম ১ ঘরের মান এবং ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যার অনুপাতকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলে।
৫। মাত্রা সমীকরণ কী?
যে সমীকরণের সাহায্যে কোন রাশির মাত্রা প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তাকে মাত্রা সমীকরণ বলে।
৬। স্লাইড ক্যালিপার্স কী?
স্লাইড ক্যালিপার্স হল এক বিশেষ পরিমাপক যন্ত্র।
৭। রাশি কী?
ভৌতজগতে যা কিছু পরিমাপ করা যায়, তাকে রাশি বলে।
৮। তাপমাত্রার একক কী?
তাপমাত্রার একক কেলভিন।
৯। মাত্রা কী?
কোন ভৌত রাশিতে উপস্থিত মৌলিক রাশিগুলোর সূচককে রাশিটির মাত্রা বলে।
১০। এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে কোন কোন রাশিকে মৌলিক রাশি ধরা হয়েছে?
এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, তাপমাত্রা, তড়িৎ প্রবাহ, দীপন তীব্রতা ও পদার্থের পরিমাণ এই সাতটি রাশিকে মৌলিক রাশি ধরা হয়েছে।
১১। মৌলিক রাশি ও লব্ধ রাশির মধ্যে পার্থক্য লিখ। (আসবেই)
মৌলিক রাশি | লব্ধ রাশি |
১। যে সকল রামি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ, যেগুলো অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না, তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে। | ১। যে সকল রাশি মৌলিক রাশির উপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায়, তাদেরকে লব্ধ রাশি বলে। |
২। মৌলিক রাশি নির্দিষ্ট- সাতটি। | ২। লব্ধ রাশি অনির্দিষ্ট। |
৩। মৌলিক রাশিসমূহ হল দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, তাপমাত্রা, তড়িৎ প্রবাহ, দীপন তীব্রতা ও পদার্থের পরিমাণ। | ৩। লব্ধ রাশি হল বেগ, ত্বরণ, বল, কাজ, তাপ ইত্যাদি। |
১২। মৌলিক রাশি কয়টি? একক ও প্রতীকসমূহ লিখ।
মৌলিক রাশির সংখ্যা সাত। এদের একক ও প্রতীকসমূহ নিন্মরূপঃ
ক্রমিক | মৌলিক রাশি | একক | প্রতীক (এককের) |
১ | দৈর্ঘ্য | মিটার | m |
২ | ভর | কিলোগ্রাম | kg |
৩ | সময় | সেকেন্ড | s |
৪ | তড়িৎ প্রবাহ | অ্যাম্পিয়ার | A |
৫ | তাপমাত্রা | কেলভিন | K |
৬ | দীপন ক্ষমতা | ক্যান্ডেলা | cd |
৭ | পদার্থের পরিমাণ | মোল | mole |
১৩। মৌলিক একক ও লব্ধ এককের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
মৌলিক একক | লব্ধ একক |
১। মৌলিক রাশির একককে মৌলিক একক বলে। | ১। লব্ধ রাশির একককে লব্ধ একক বলে। |
২। মৌলিক একক মিটার, সেকেন্ড, গ্রাম ইত্যাদি। | ২। লব্ধ একক হচ্ছে বর্গমিটার, ঘনমিটার ইত্যাদি। |
১৪। “এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য”-উদ্দীপকের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
বৈজ্ঞানিক তথ্যের আদান-প্রদান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য সারা বিশ্বে মাপজোখের একই রকম আদর্শের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ প্রয়োজন থেকেই ১৯৬০ সাল থেকে দুনিয়া জুড়ে বিভিন্ন রাশির একই রকম একক চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এককের এ পদ্ধতিকে বলা হয় এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বা এসআই পদ্ধতি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি কাজের সাথে মাপজোখের ব্যাপারটি জড়িত। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণার কাজে প্রয়োজন হয় সূক্ষ মাপজোখের। যে-কোনো পরিমাপের জন্য প্রয়োজন একটি স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ পরিমাপকের, যার সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা যায়। পরিমাপের এই আদর্শ পরিমাণকে বলা হয় পরিমাপের একক। পরিমাপের এই চাহিদা থেকেই ১৯৬০ সালে এস আই একক চালু হয়, যা আন্তর্জাতিকভাব স্বীকৃত। এস আই একক পরিমাপের জগতে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এস আই পদ্ধতি না থাকলে তথ্যের আদান-প্রদান এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হতো্ তাই বলা যায়-“এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম”।
১৫। সূক্ষভাবে পরিমাপের জন্য স্লাইড ক্যালিপার্স কেন ব্যবহার করা হয়, ব্যাখ্যা কর।
স্লাইড ক্যালিপার্স এর সাহায্যে ভার্নিয়ার পদ্ধতি দ্বারা বস্তুর দৈর্ঘ্য, উচ্চতা, ফাঁপানলের অন্তঃব্যাস, বর্হিব্যাস ও আয়তন সূক্ষভাবে পরিমাপ করা যায় বলে সূক্ষভাবে পরিমাপের জন্য স্লাইড ক্যালিপার্স ব্যবহার করা হয়।
১৬। উদ্দীপকের যন্ত্রের সাহায্যে কোনো দন্ডের দৈর্ঘ্য কীভাবে পরিমাপ করবে -বিশ্লেষণ কর।
বস্তুর দৈর্ঘ্য নির্ণয়ঃ যে বস্তু বা দন্ডের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে হবে তা স্লাইড ক্যালিপার্সের চোয়াল দুটির মাঝে স্থাপন করতে হবে। ভার্নিয়ার স্কেলের সাথে লাগানো চোয়াল ঠেরে সামনে আনতে হবে যাতে প্রধান স্কেলের চোয়াল ও ভার্নিয়ারের চোয়াল বস্তুটিকে বিপরীত দিক থেকে স্পর্শ করে। এখন স্ক্রুর সাহায্যে ভার্নিয়ার স্কেলটি প্রধান স্কেলের সাতে দৃঢ়ভাবে আটকে নেই। এবার প্রধান স্কেলের পাঠ ও ভার্নিয়ারের পাঠ নেই।
সুতরাং বস্তুটির দৈর্ঘ্য = প্রধান স্কেলের পাঠ + ভার্নিয়ার সমপাতন X ভার্নিয়ার ধ্রুবক- (যান্ত্রিক ক্রুটি)
এখানে যে প্রশ্নগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো পড়লে ক, খ, ঘ উত্তর করা সম্ভব। গ উত্তর করার জন্য আমাদের অনলাইন ক্লাসের ভিডিও দেখে নিবেন।
ভোকেশনাল নবম সমাপনী পরীক্ষার সুপার সাজেশন ও অনলাইন ক্লাসে ভর্তি হতে দ্রুত কল করুন
01723-474442 অথবা 01725-117988